মূল পাতা রাজনীতি আওয়ামী লীগ সাংবিধানিকভাবে বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে : ইউনুছ আহমাদ
রহমত নিউজ ডেস্ক 27 December, 2022 07:05 PM
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫২ বছর অতিক্রম করলেও শাসন কাঠামো, নীতি-পদ্ধতি পুরোনো উপনিবেশিক আমলেরই থেকে গেছে বরং সাংবিধানিকভাবে বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠাগুলোকে কুক্ষিগত করে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার পাঁয়তারা করা হয়েছে। স্বাধীনতার পরে যারাই ক্ষমতায় ছিলো তারাই এই মেরামতযোগ্য অকার্যকর রাষ্ট্রব্যবস্থার সুযোগ নিয়েছে।
আজ (২৭ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার বিকালে পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম রুহুল আমীন, বরকত উল্লাহ লতিফ, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, বীর মুুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম প্রমুখ।
ইউনুছ আহমাদ বলেন, একটি স্বাধীন দেশে দুভিক্ষের পুর্বাভাশ শোনা, ব্যাংকখাতে হরিলুট হতে দেখা, নির্বাচন কেন্দ্রীয় যুদ্ধাবস্থা দেখার মতো দুভার্গ্য ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। দু:খজনক সত্য হলো, স্বাধীনতার ৫২ তম বছরে এসে আজকে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। যার একমাত্র কারণ বিগত শাসক গোষ্ঠির অনুসৃত ভুলনীতি, অসৎ চরিত্র, ক্ষমতার লিপ্সা, অদক্ষতা। এই পরিস্তিতি চলতে দেয়া যায় না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জাতিকে এই দুরাবস্থায় ফেলতে দেবে না। সেজন্য আগামী ২ জানুয়ারী দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ। উক্ত সম্মেলন থেকেই আগামী নেতৃত্ব গঠন করা হবে এবং ২০২৪ এর জাতীয় নির্বাচনের চুড়ান্ত রূপ রেখা ঘোষণা করা হবে। দেশে বিগত ৫২ বছরে কোন সরকারই একটি টেকসই ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি। বিরোধী দল রাষ্ট্র মেরামতের কথা বললেও নির্বাচন ব্যবস্থার বিষয়ে নতুন কোন টেকসই প্রস্তাবনা দিতে পারেনি। ২ জানুয়ারীর জাতীয় সম্মেলনে এ বিষয়ে পুর্ণাঙ্গ ও টেকসই একটি রূপরেখা দিবে।